ঢাকাশনিবার , ১০ মে ২০২৫
  1. ইতিহাস
  2. উলিপুর উপজেলা
  3. এসবি পডকাস্ট (বিভাগ ভিত্তিক)
  4. কুড়িগ্রাম
  5. কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা
  6. খুলনা বিভাগ
  7. চট্টগ্রাম বিভাগ
  8. চাকরি
  9. চিলমারী উপজেলা
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. নাগেশ্বরী উপজেলা
  13. নারী
  14. প্রযুক্তি
  15. ফুলবাড়ী উপজেলা
আজকের সর্বশেষ খবর

লোকসঙ্গীতের কিংবদন্তি মুস্তফা জামান আব্বাসী আর নেই!

sbnewsbd
মে ১০, ২০২৫ ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামী নজরুল সঙ্গীত ও ভাওয়াইয়া গানের প্রখ্যাত শিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসী গতকাল রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি লোকসঙ্গীত জগতে এক অমূল্য রত্ন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মুস্তফা জামান আব্বাসী ছিলেন প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী আব্বাস উদ্দীনের পুত্র। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে লোকসঙ্গীতের প্রচারে নিবেদিত ছিলেন। শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি প্রশংসিত ছিলেন। তিনি বহু লোকশিল্পীকে টেলিভিশনে উপস্থাপন করেছেন, যার মধ্যে মমতাজ ও আকবরের মতো শিল্পীরা উল্লেখযোগ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন, “লোকসঙ্গীতহীন বাংলাদেশ অনেকখানিই মৃত”।

মুস্তফা জামান আব্বাসী ভাওয়াইয়া গানকে আধুনিক শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তাঁর গাওয়া গানগুলো যেমন ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরষা নদী উথাল পাতাল’, ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’ ইত্যাদি, শহুরে শ্রোতাদের মধ্যেও সমাদৃত হয়েছিল।

তিনি নজরুল সঙ্গীতেরও একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন। নজরুলের ইসলামী সঙ্গীত সৃষ্টির নেপথ্যে আব্বাস উদ্দীনের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আব্বাস উদ্দীন নজরুলকে অনুরোধ করেছিলেন বাংলায় ইসলামি গান রচনার জন্য, যার ফলস্বরূপ ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে’ ও ‘ইসলামের ঐ সওদা নিয়ে’ গান দুটি রচিত হয়।

মুস্তফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ও ভক্তরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে ফেরদৌসী রহমানও একজন খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অমূল্য রত্নের অভাব অনুভূত হবে।

মুস্তফা জামান আব্বাসী ছিলেন লোকসঙ্গীতের এক অমর সাধক, যাঁর অবদান চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।

এই ওয়েবসাইটের সকল কোনো লেখা, ছবি, অডিও বা ভিডিও “পেজ দ্যা নিউজ” কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কপি করা দন্ডনীয়। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করলে কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে।