কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকায় সদস্য পদে জেলার রাজারহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস এর ট্রেড প্রশিক্ষক মোছাঃ রেজিয়া খাতুন
এর নাম পাওয়া গেছে। চাকরিবিধি অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। অথচ দপ্তরটির ট্রেড প্রশিক্ষক মোছাঃ রেজিয়া খাতুন রয়েছেন দলীয় পদে। আওয়ামী লীগ
ক্ষমতায় থাকাকালেই রেজিয়া খাতুন প্রকাশ্যে দলীয়
কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। অভিযোগ রয়েছে, রেজিয়া খাতুন ২০০৯ সালে কুড়িগ্রাম-২ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) এর এমপি আহমেদ নাজমীন সুলতানার মাধ্যমে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে সদর উপজেলার পলাশবাড়ী মৌজার . ০৪ শতক অকৃষি খাস জমি একসনা লীজ নেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই রেজিয়া খাতুন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০২১ সালের ১৯ জুন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে রাজারহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস এর ট্রেড প্রশিক্ষক রেজিয়া খাতুনের৷
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৯ নম্বর বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না, রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বা রাজনৈতিক মত প্রচার করতে পারবেন না। কিন্তু ট্রেড প্রশিক্ষক রেজিয়া খাতুন এসব বিধান তোয়াক্কা না করেননি।

