ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তবে এই উদ্যোগকে ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পে (LMAP) দরপত্রে অনিয়ম, যোগসাজশ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে একটি লিখিত আবেদন জমা পড়েছে দুদক, ভূমি মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এটুআই (a2i) প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করছে। তদন্তে অনিয়ম ধরা পড়লেও সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে সরকারি কাজ পেয়ে আসছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সফটওয়্যার ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্ধেক কাজ মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠানের হাতে গেছে। এর মধ্যে Tapwear Solutions এককভাবে সর্বাধিক ৬টি কাজ পেয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের বেশিরভাগই বর্তমানে অকার্যকর বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে এটুআইয়ের সাবেক ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট মো. সাদ্দাম হোসেন মজুমদার-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তিনি নির্দিষ্ট কোম্পানিকে সুবিধা দিতে প্রভাব খাটিয়েছেন। Tapwear-এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এবং বর্তমানে SEBPO-TAPPWEAR-JV নামে একটি যৌথ উদ্যোগে কাজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পাওয়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, Syntech Solution Ltd – A & A Trade International (JV)। এর মধ্যে A & A Trade International একটি ট্রেডিং কোম্পানি, যা ২০২১ সালে গঠিত, BASIS-এর সদস্য নয় এবং ওয়েবসাইটও কার্যকর নয়। তবুও প্রতিষ্ঠানটি নামে-মাত্র যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছে।
এছাড়া, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিষ্ঠিত TechnoVista Ltd-ও তালিকায় রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অতীতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সরকারি কাজ পেলেও বর্তমানে বেশ কিছু সফটওয়্যার প্রকল্প অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো সরাসরি নাগরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত। ফলে অনিয়ম হলে কেবল সরকারি অর্থের অপচয়ই হবে না, বরং নাগরিক সেবার মানও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অভিযোগকারী বলেন, “এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম চলতে থাকলে জনগণ সেবাবঞ্চিত হবে। তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি
